এবার খেলনা নিয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার পথে ভারত

এবার খেলনা নিয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার পথে ভারত



এবার খেলনা নিয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার পথে ভারত। আগস্ট মাসের শেষ রবিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মানকি বাত অনুষ্ঠানে দেশে খেলনা উৎপাদনে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। এদিন তিনি বলেন, করোণা মহামারীর পরিস্থিতিতে শিশুদের মানসিক বিকাশ নিয়ে মন্ত্রিসভার সাথে আলোচনা হয়েছে। শিশুদের মানসিক বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো খেলনা। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের হাতে নিত্য নতুন খেলনা দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চিন্তাভাবনা চলছে। অসম্পূর্ণ খেলনা নিয়ে ছোটরা খেলে তা সম্পূর্ণ করে তোলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে গিয়েছেন শিশুদের খেলনার গুরুত্বের কথা।

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী প্রশ্ন করেছেন, ভারত কিভাবে খেলনা উৎপাদনে আত্মনির্ভর হতে পারে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এও বলেছেন ভারতকে খেলনা উৎপাদনের আঁতুড় ঘরে পরিণত করতে হবে। খেলনা উৎপাদনে প্রধানমন্ত্রী শিল্পপতি মহলকে আহ্বান জানিয়েছেন। মোদি বলেছেন, প্রকৃতির কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হবে শিশুদের খেলনা, এবার খেলনা ইন্ডাস্ট্রিতেও আত্মনির্ভর হতে হবে ভারতকে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা দিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে খেলনার বিষয়ে আলাদাভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। খেলনার মাধ্যমে শিক্ষার বিষয়ে বিশেষভাবে জোর দেওয়ার আলোচনা চলছে। তিনি বলেছেন, সারাবিশ্বে মোট সাত লক্ষ কোটি টাকার খেলনার বাজার রয়েছে। কিন্তু এতে ভারতের অংশীদারিত্ব খুবই নগণ্য। তিনি জানিয়েছেন, সময় এসেছে এখন 'টিম অপ ফর ট্রেয়েস' প্রকল্প শুরু করার। তিনি এই প্রকল্পকে ভোকাল ফর লোকালের সঙ্গেও জুড়ে দিয়েছেন।

পাশাপাশি এদিন তিনি, শিশুদের পুষ্টি নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, বেড়ে ওঠার জন্য শিশুদের পুষ্টির গুরুত্ব অপরিসীম। একটা পুরো সেপ্টেম্বর জুড়ে পুষ্টি মাস পালন করা হবে। ভারতীয় কৃষি কোষ তৈরি করা হচ্ছে ফলের পুষ্টিগুণ বিচার করে। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের দেশে এবার খরিফ শস্যের ফলন খুব ভালো হয়েছে। বৃষ্টি এবং আবহাওয়া এবছর খুব ভালো থাকায় দেশের ফলন বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ। সর্ষের দাম এবছর তেমন একটা বৃদ্ধি পাবেনা।

করোণা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেছেন ,সমগ্র দেশবাসী যে ধৈর্য সংযম দেখিয়েছে, তা অভূতপূর্ব। করনা আবহের মধ্যে দেশ একসঙ্গে অনেক কিছুর সঙ্গে লড়ছে। চিনা আগ্রাসন সহ পাকিস্তানি টেরোরিজম। তিনি সকলকে করোণা ভ্যাকসিন দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। ভারতে তিনটি করণা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল' চলছে তা শীঘ্রই বাজারে আসবে। তা প্রথমে ডক্টর পুলিশ সরকারি কর্মচারী সহ ধাপে ধাপে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।
Previous Post Next Post